বন্ধুরা আমরা সকলেই জানি, পৃথিবীর সব থেকে বড় পর্বত শৃঙ্গ হলঃ মাউন্ট এভারেস্ট। এর আয়তন আট হাজার আচলিশ  মিটার এবং এই চূড়ায় পৌঁছানো টা প্রচন্ড কঠিন একটি কাজ।

 কিন্তু বর্তমানে সেই কঠিন কাজ, অনেক পর্বতারোহীরা সম্পন্ন করেছে।
 এবং ভবিষ্যতেও করবে।
 কিন্তু আপনারা কি জানেন মাউন্ট এভারেস্টে যাত্রাকালীন গড়ে প্রতি দশ জনের মধ্যে একজনের মৃত্যু ঘটে।

 তবে যদি এই অবস্থা আজকের দিনে ঘটে থাকে, তবে প্রথম মাউন্ট এভারেস্ট আরোহীদের কি অবস্থা হয়েছিল? জাস্ট একটু কল্পনা করে দেখুন।?

  আছা! আপনারা কি জনেন, মাউন্ট এভারেস্ট প্রথম পৌঁছেছিলেন কিভাবে? 
 যদি এটা নাও জেনে থাকেন, তবে নিশ্চয়ই এখন সেটা জানতে আপনার ইচ্ছা করছে।

 কারণ আমি জানি আপনাদের প্রত্যেকের মধ্যেই রোমান্স এবং অ্যাডভেঞ্চার এর চাহিদা অনেক বেশি।

 যে কারণে আপনারা অদ্ভুত পৃথিবীর এর সাথে যুক্ত হয়ে আছেন, তবে চলুন বেশি দেরি না করে ভিডিও শুরু করা যাক। 

এভারেস্ট জয় করার প্রথম হিরোর সঙ্গে জড়িয়ে থাকা অ্যাডভেঞ্চার পূর্ণ ভিডিওটিকে।


পৃথিবীর সবথেকে বড় এবং উচ্চতম পর্বতমালা মাউন্ট এভারেস্টে ওঠার স্বপ্ন, উনিশ একুশ সালের আগে থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল।কিন্তু সেই পর্বতমালার শৃঙ্গে কেউ উঠতে পারছিল না। 
কারন আমরা সকলেই জানি এভারেস্টে ওঠার খুব একটা সহজ ব্যাপার নয়।
 এবং এখানে পৌঁছানোর জন্য খুবই জটিল এবং ভয়ঙ্কর অবস্থার সম্মুখীন হতে হয়।

 উনএিশ হাজার তিরিশ ফুট উঁচু পর্বতের রাস্তায় অনেক মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে।
 আর এই মিশনে আজ পযন্ত  অনেক লোক পরাজিত হয়েছে।
 আবার অনেক মানুষ তার জীবন ত্যাগ করেছে। 
এমনকি এই পর্বতমালা তেই আজও বহু মানুষের মৃতদেহ বরফের নিচে চাপা পড়ে রয়েছে। 
যেটা আজও পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। 
কিন্তু এইসব ঘটনার পরেও কিছু সাহসী লোকেরা কোন ভাবেই হার মানেনি।

 তারা অনবরত এভারেস্ট শৃঙ্গে ওঠার আপান চেষ্টা  চালিয়ে গিয়েছে। 
আর এইসব সাহসীদের মধ্যে একজন ছিলেন নেপালের তেনজিং নরগে। উনিশো বাউয়ানে সালে নেপালের বাসিন্দা তেনজিং নরগে মাথায়, মাউন্ট এভারেস্ট শৃঙ্গে ওঠার ইচ্ছা মাথা চাড়া দিয়েছিলো।

 তাই সে আর একজন পর্বতারোহী সুইজারল্যান্ড লেমন্ট লেনবার এর সঙ্গে মাউন্ট এভারেস্ট শৃঙ্গে ওঠার ঝুঁকি নিয়ে নেয়।

 কিন্তু শেরপা তেনজিং সেই বার ব্যর্থ হয়। উনিশো বাউয়ানে  সালে রেমন ও তেনজি মোটামুটি এভারেস্ট শৃঙ্গে কাছাকাছি চলে এসেছিল।
 কিন্তু অত্যন্ত বাজে ওয়েদার এর কারণে, এভারেস্ট পর্বত শৃঙ্গ থেকে, একহাজার  ফুট দূরত্ব থেকে ফিরে আসতে হয়েছিল তাদের।

 মাউন্ট এভারেস্টের এতটা কাছে কাছে এসে ফিরে চলে আসা দুঃখটা তাদের সঙ্গেই রয়ে গিয়েছিল।
 কিন্তু এই যুদ্ধে রেমন হেরে গেলেও, শেরপা তেনজিং কোনভাবেই হার মানেননি।

 তেনজিং আবার উনিশো তিপানো সালে সাত জন ইংরেজ এবং দুইজন সুইজারল্যান্ডের পর্বতারোহীকে নিয়ে মাউন্ট এভারেস্ট এর জাএরা শুরু করে। 

 ট্রেন্দিং এডমন্টন হেংরি আরমান হেনরি এবং তাদের টিম পর্বতারোহণ শুরু করে।
.....
  নয়ে এপ্রিল উনিশো তিপানো সালে বরফের রাস্তা মাইনাস  টেম্পারেচার হিম নদী। নদী থেকে ভেঙে পড়া বরফের পাহাড়। এবং বরবের খাত ইত্যাদি বাধা এবং প্রতিকুলতাকে অতিক্রম করে তারা একটির পর একটি ক্যাম্প তৈরি করে চলেছিল।
 এবং সময়ের সাথে সাথে নিজেদের উদ্দেশ্যে লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে থাকে। মোটামুটি কুড়ি হাজার ফুট ওঠার পর একটি ছোট্ট পাহাড়ের খাদ পার করবার জন্য হেনরি লাভ দেয়।

 কিন্তু তার শরীরের ভারের এর কারণে বরফের রাস্তা সেখান থেকে খসে পড়ে।
 এবং সেই মুহূর্তে হেনরি প্রায় বরফের নিচে প্রাণ হারাতে বসেছি। 
তখনই সময় থাকতে হেনরির পেছন থেকে, তানজিং ছুঁড়ে দেয়। 
আর সেই দড়ি ধরে হেনরি কোনরকম প্রাণে বেচে যাই।
এবং হেনরির টিম আস্তে আস্তে এভারেস্ট পর্বত শৃঙ্গের কাছে চলে আসতে থাকে।

 কিন্তু তেনজিং দের আগে পর্বতারোহণ শুরু করেছিল চালসওয়ান্টএর টিম। 

যারা তেনজিং এর টিমের অনেক আগেই এভারেস্টের চূড়া দিকে এগিয়ে গিয়েছিল।
 অর্থাৎ কোনো কারণে ওয়ার্ল্ড টিম এভারেস্টে উঠতে ব্যর্থ হলে বা পর্বতারোহণ বন্ধ করে যদি ফিরে আসে তবে তার পরে তেনজিং এর টিম এগিয়ে যেতে পারবে। 
কারণ এভারেস্টের চূড়ায় ওঠার একটা রাস্তা  ছিল। একটি তেনজিং  এবং হেংরির টিম মোটামুটি অর্ধেকের বেশি পর্বতারোহণ করে ফেলেছিল।
 কিন্তু এভারেস্টের একদম কাছাকাছি থাকা শেষ খাচ্ছি অত্যন্ত কঠিন এবং ঝুঁকিপূর্ণ ছিল।
 আর যেখানে পৌছাতে গিয়ে অনেক অনেক পর্বতারোহীরা নিজেদের জীবন ত্যাগ করেছে। 
সেইটার উনিশো তিপানো সালের ছাব্বিশ  শে মে মাউন্ট এভারেস্টের শিখরে কাছ থেকে ওয়ার্ল্ড টিম তিনশো  ফুট দূরে ছিল।

 কিন্তু এবং তার সাথীরা খুবই ক্লান্ত ছিল। তাদের শরীরে আর চলার মতন শক্তিও ছিল না। বলা যেতে পারে
তাদের এক পা চলার  মতন ক্ষমতা ছিল না। 

তাই তারা মাউন্ট এভারেস্ট শৃঙ্গ থেকে প্রায় তিনশো ফিট দূর থেকেই ফিরে যায়।



ওয়াল্টের এর দল চলে যাওয়ার পর, এই তেনজিং  এবং হেংরির টিম সামনে এগিয়ে আসে।
 এবং তারা একটি রাত ঘুমানোর পর এই পরেরদিন সকালেই ট্রেন্দিং একটা টিম নিজের যাত্রার উদ্দেশ্যে এগিয়ে যায়। 
সেই সময় তাপমাত্রা ছিল -সাতাশ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 
এবং পরিস্থিতি অত্যন্ত কঠিন ছিল।

 কিন্তু তবুও এই সাহসী বীরেরা কোনভাবে হাল ছাড়েনি তারা প্রতিকূলতা ও নিজের শরীরের কঠিন অবস্থার সম্মুখিন হতে হতে একের পর এক বাধা অতিক্রম করতে থাকে।
 আর এই ভাবেই সকাল নটার সময় তারা দক্ষিণ শিখরে পৌঁছে যায়। 

কিন্তু ধীরে ধীরে তাদের অক্সিজেন কমতে থাকে। আর তাদের কাছে তখন আর পর্যাপ্ত অক্সিজেন ছিল না। যে তারা পরবর্তী পরবতের পুরো অবিজান করতে পরাবে বা নিচে চেল আসতে পারবে।

 এমন পরিস্থিতিতে তেনজিং  এর গতি কমতে থাকে এবং তার পা ধীরে ধীরে ভারী  হতে শুরু করে।
 ঠিক একই রকম অবস্থা কিছুটা হেনরি ও হচ্ছিল। হেনরি ও তেনজিং-এর দিকে কিছুক্ষণ তাকায় এবং তেনজিং কে কিছুটা সময় থামিয়ে দেয় বিশ্রামের জন্য। সেই সময়ের মধ্যে হেনরি তেনজিং-এর অক্সিজেনের নলকে পরিষ্কার করে দিচ্ছিল।
 কারণ তেনজিং-এর শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। 



এইভাবেই আস্তে আস্তে মাথা ঠান্ডা রেখে। তারা সমস্ত কঠিন পরিস্থিতিকে অতিক্রম করতে থাকে। 
এবং তাদের পদক্ষেপ এভারেস্ট পর্বত মালার দিকে বাড়িয়ে দিতে থাকে। এইভাবে শেষ পর্যন্ত উনএিশো মে উনিশো তিপানো সালে তেনজিং ও হেনরির নাম ইতিহাসের পাতায় লেখা হয়।
 যখন তারা সকাল এগারোটার সময় পৃথিবীর মধ্যে সবথেকে উঁচু পর্বত শৃঙ্গ উনএিশ হাজার এিশ ফুট অর্থাৎ আট হাজার আটশো আচলিশ মিটার উঁচুতে পৌঁছায় সেই সময়ে তাঁদের আনন্দের কোনো সীমা ছিল না। 
তাদের মাথায় অতীতের কোন কষ্ট বা সামনের পরিশ্রমের কোন চিন্তা ছিল না।

 আসলে সেই সময়, তারা দুইজন যেন অন্য পৃথিবীতেই দাঁড়িয়েছিলেন। 
কারণ পৃথিবীর সবথেকে উঁচু তে থাকা স্থান থেকে পৃথিবীর নিচের দৃশ্য কিছুক্ষণের জন্য তাদের মন মুগ্ধ করে দিয়েছিল।
 আর যে দৃশ্য তারাই প্রথম দেখেছিল। কিন্তু একটা সময় তাদের অক্সিজেনের অভাব এবং শরীরের খাটনি তাদের জ্ঞান ফেরাই। তারা খুব সামলে চূড়া থেকে জীবিত ফিরে আসে। এবং জয় করে পৃথিবীর এমন চারটি চোখ যে চারটি প্রথম এভারেস্টের চূড়ায় দাঁড়িয়ে পৃথিবীর সৌন্দর্য কে নিরক্ষর করেছিল।
 তাদের এই যাত্রায় না ছিল এভারেস্টের গায়ে দড়ি লাগানো। না ছিল পর্যাপ্ত সরঞ্জাম, তাও তারা পেরেছিল এবং তৈরি করেছিল এমন এক রাস্তা যেটা দশকের পর দশক ধরে অবলম্বন করেছে পর্বতারোহীরা। তো বন্ধুরা আপনাদের সকলের জন্য একটাই প্রশ্ন আপনাদের কখনো কি ইচ্ছা হয়েছে পৃথিবীর সবথেকে উঁচু পর্বত শৃঙ্গের চূড়ায় দাঁড়িয়ে পৃথিবীর সৌন্দর্য দেখার অবশ্যই সেটা কমেন্ট বক্সে জানাবে।

তো বন্ধুরা এমনই আনকমন ইন্টারেস্টিং রহস্য-রোমাঞ্চ ভিডিও দেখতে আমাদের চ্যানেলটি এখনি সাবস্ক্রাইব করুন। 

এবং পাশে থাকা বেল আইকনটি প্রেস করুন।
 ভিডিওটি ভালো লাগলে লাইক দিতে পারেন।
 তবে আমাদের আজকের আয়োজন এ পর্যন্তই। 
দেখা হচ্ছে আগামী ভিডিওতে ততক্ষণ পর্যন্ত ভালো থাকুন

Post a Comment

Previous Post Next Post